#একতরফা_ডিক্রি এবং ছানি মোকদ্দমাঃ
—————————————————
~দেশের কোনো আইনেই ছানি মোকদ্দমার সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা প্রদান করা হয়নি।
এমনকি দেওয়ানি কার্যবিধিতেও এ সংক্রান্ত কোনো শব্দ নেই। ফলে প্রায়শই নানা
বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। সাধারণত কোনো মামলা একতরফাভাবে সম্পন্ন হলে সে
মামলাটিকে অত্র আদালতে পুনরায় চালু করার পদ্ধতিকেই প্রথাগতভাবে ছানি মামলা
বলা হয়। সুতরাং, ছানি মামলা বুঝতে হলে ‘একতরফা’ সম্পর্কে জ্ঞান থাকা দরকার।
#একতরফা:
এখন প্রশ্ন হচ্ছে- একতরফা কী? একতরফা হচ্ছে আদালত কর্তৃক প্রদত্ত এক
প্রকারের ডিক্রি। এখানে বলে রাখা ভালো যে, বাংলাদেশের আদালতের বিচারকৃত
সিদ্ধান্ত দুই প্রকারের- ডিক্রি ও আদেশ। ‘মামলাটি বাতিল হয়েছে’- এ মর্মে
প্রদত্ত কোনো আদেশ যদি ডিক্রিতে পরিণত হয় তবে সেটা আপিলযোগ্য। মামলা না
চালানোর কারণে কোনো মামলা বা আপিল খারিজ হলে তা কোনো ডিক্রিতে পরিণত হয় না।
মামলায় কোর্ট ফি অপরিশোধিত থাকার কারণে যদি আদালত আরজি প্রত্যাখ্যাত হওয়া
মর্মে কোনে আদেশ প্রদান করে মামলা খারিজ করেন, তবে আরজি প্রত্যাখ্যাত হওয়া
মর্মে প্রদত্ত আদেশটিতে ডিক্রির কার্যকারিতা থাকবে।
ওপরের
সংক্ষিপ্ত আলোচনায় আমরা জানতে পারলাম একতরফা হচ্ছে আদালত কর্তৃক প্রদত্ত এক
প্রকারের ডিক্রি। দেওয়ানি কার্যবিধির ৯নং আদেশের ৩নং বিধিতে বলা হয়েছে,
আদালতে মামলা শুনানির জন্য ডাক পড়লে বাদী উপস্থিত, কিন্তু বিবাদী অনুপস্থিত
থাকলে, সে ক্ষেত্রে আদালত মামলাটির একতরফা বিচার করতে পারেন। নির্ধারিত
ধার্য তারিখে পক্ষগণ হাজির না থাকলে বা বাদী খরচ প্রদানে ব্যর্থ হলে অথবা
বাদী নির্দিষ্ট সময়ে সমন না দিলে বা যথাসময়ে সমন জারি না হলে কিংবা শুনানির
তারিখে অথবা মুলতবি শুনানির তারিখে পক্ষ হাজির না হলে ইত্যাদি কারণে আদালত
বা আপিল আদালত মামলা খারিজ, ডিসমিস বা পারেন। একতরফা করতে পারেন। এ
অবস্থায় উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে ওই আদেশ রদ বা রহিত করতে সংশ্লিষ্ট আদালতে
দেওয়ানি কার্যবিধির ৯ আদেশের ৪ ও ১৩ নিয়মে, ৪১ আদেশের ১৯ ও ২১ নিয়মে
প্রতিকারের জন্য প্রার্থিত মামলাকে ‘একতরফা মামলা’ বলে।
বাংলাদেশের প্রচলিত দেওয়ানি কার্যবিধি-১৯০৮-এর আদেশ ৯-এর নিয়ম ৬ এবং ৭;
আদেশ ১৭-এর নিয়ম ২ এবং আদেশ ৪১-এর নিয়ম ১৭-তে একতরফা বিচার সম্পর্কে বিধান
রয়েছে। আদেশ ৯-এর নিয়ম ৬ মোতাবেক যদি বিবাদী হাজির না হন এবং প্রমাণিত হয়,
সমন সঠিকভাবে জারি করা হয়েছে সে ক্ষেত্রে আদালত একতরফাভাবে বিচার করতে
পারেন। পাশাপাশি ১৭ আদেশের ২ নিয়মের বিধান মোতাবেক সময়ের প্রার্থনা মঞ্জুর
হওয়ার পর ধার্য তারিখে বিবাদী হাজির না থাকলে আদেশ ৯-এর বিধান মোতাবেক
একতরফা বিচার হবে। আদেশ ৪১-এর নিয়ম ১৭ মতে একতরফা আপিলের বিচার সম্পর্কে
বিধান রয়েছে। এখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, শুনানি মুলতবি হলে পরবর্তী তারিখে
আপিলের শুনানির জন্য ডাক পড়লে আপিলকারী যদি হাজির না হন, তবে আদালত আপিল
খারিজের আদেশ দিতে পারেন; যদি আপিলকারী হাজির হন কিন্তু প্রতিবাদী হাজির না
হন, তবে একতরফা আপিলের শুনানি হবে।
‘একতরফা’- বিষয়ে মুহাম্মদ
হাবিবুর রহমান ‘আইন শব্দকোষ’ গ্রন্থে মন্তব্য প্রদান করতে গিয়ে বলেছেন-
‘অন্যপক্ষের অনুপস্থিতিতে আদালত কর্তৃক বিচারে অগ্রসর হওয়া। কেবল
আবেদনকারীর আর্জি শ্রবণ করে আদালত যখন কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করেন, তখন তা
একতরফাভাবে করা হয়।’ বাংলাদেশে এ শব্দটির ব্যবহার প্রচলিত থাকলেও পৃথিবীর
নানা দেশে এর পরিবর্তন হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে- ইংল্যান্ডে
বর্তমানে ‘এক্সপারটি’ শব্দটির পরিবর্তে ‘উইদাউট নোটিস’ শব্দগুচ্ছ ব্যবহার
করা হয়।
আরজি উপস্থাপনের মাধ্যমে এখতিয়ারযোগ্য আদালতে মামলা রুজু
করার জন্য দাখিল করতে হয়। ছানি মামলার আরজি দাখিলের দিন থেকেই মামলা রুজুর
দিন ধরে নেয়া হয়। আরজি দাখিল ব্যতীত অন্য কোনো দিনই এ মামলা রুজুর দিন
হিসেবে পরিগণিত হবে না। কেননা আমরা জানি বিচার প্রক্রিয়ায় যে কার্যক্রম
আরজি দাখিলের মাধ্যমে শুরু হয় না, তাকে কোনোভাবেই মামলা বলা যেতে পারে না।
যদি এ রকম কোনো কার্যক্রম রায় কিংবা ডিক্রির মাধ্যমে শেষ হয়।
আমাদের দেশের সকল দেওয়ানি মামলাই আরজি পেশের মাধ্যমে আদালতে দায়ের করতে হয়
অথবা নির্ধারিত অন্য কোনো পদ্ধতিতে মামলাটি দায়ের করতে হয়। ছানি মামলা এক
প্রকারের দেওয়ানি মামলা। তাই এ মামলাগুলো দেওয়ানি মামলার মতোই দায়ের করতে
হয়। যে তারিখে আরজি দাখিল করা হয় সে তারিখেই মামলা শুরু হয়। আদালতে উক্ত
ছানি মামলাকে রেজিস্ট্রিভুক্ত করা হয়। মজার বিষয় হচ্ছে, এ
রেজিস্ট্রিভুক্তির সঙ্গে মামলা শুরু হওয়ার কোনো সম্পর্কই নেই। বিধান
মোতাবেক মামলা খারিজ, ডিসমিস বা একতরফা হলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি যথা- (১)
বাদী আদালতের সন্তুষ্টি মতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোর্ট ফি বা সমন জারির
ডাকমাসুল দিতে না পারায় অথবা হাজির না হওয়ার উপযুক্ত কারণ দর্শিয়ে; (২)
শুনানির জন্য ডাকে বাদী হাজির না থাকলে কিন্তু বিবাদী হাজির থাকলে বাদী
মামলা খারিজের আদেশ রদ করার জন্য শুনানির দিন বাদী অনুপস্থিত থাকার
সন্তোষজনক কারণ দর্শিয়ে; (৩) বিবাদী শুনানির দিনে তার ওপর যথারীতি সমন জারি
হয়েছে মর্মে সন্তোষজনক কারণ দর্শিয়ে যে আদালত মামলাটি খারিজ ডিসমিস বা
একতরফা আদেশ প্রদান করেন সেই আদালতে একতরফা খারিজ আদেশের ৩০ দিনের মধ্যে
খারিজ আদেশ বাতিল, রদ ও রহিত করে মূল আদেশ প্রার্থনা করতে হয়।
দেওয়ানি কার্যবিধির ৫ আদেশের ১-৩ মতে মামলার বিবেচনায় সমনের বিষয়
গুরুত্বপূর্ণ। একই নিয়মে ছানি মামলার ক্ষেত্রেও সমনের গুরুত্ব অপরিসীম। মূল
মামলার বা ছানি মোকদ্দমায় সমন বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। প্রচলিত
আইনের বিধান মোতাবেক যে সকল ক্ষেত্রে ছানি মামলা দায়ের করা যায়, সেগুলো
হলো-
(১) বাদী খরচ না দেয়ায় সমন জারি না হয়ে থাকলে কিংবা কোনো পক্ষ
হাজির না হলে; দেওয়ানি কার্যবিধির ৯ আদেশের ৪ বিধান অনুযায়ী ছানি মামলা করা
যায়।
(২) সমন জারি না হয়ে ফেরত আসার পর বাদী ৩ মাস পর্যন্ত নতুন করে
সমন দেয়ার আবেদন না করলে; যথা সময়ে সমন জারি হয়ে এসেছে প্রমাণ হলে এবং বাদী
হাজির থাকলে এবং বিবাদী হাজির থাকে কিন্তু বাদী অনুপস্থিত থাকলে দেওয়ানি
কার্যবিধির ৯ আদেশের ৯ নিয়ম অনুযায়ী ছানি মামলা করা যায়।
(৩) কোনো
সন্তোষজনক কারণ ছাড়াই আদালতের নির্দেশিত ব্যক্তি আদালতে উপস্থিত না হলে;
দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ৯ আদেশের ১৩ নিয়ম মতে ছানি মামলা করা যায়।
(৪) নির্ধারিত তারিখে শুনানি মুলতবি হয়ে থাকলে পরবর্তী তারিখে আপিল শুনানির
জন্য ডাক পড়লে আপিলকারী হাজির না থাকলে; আপিল শুনানির ধার্য তারিখে বা
শুনানি মুলতবি তারিখে প্রতিপক্ষ হাজির না থাকলে; আপিলকারী প্রতিপক্ষের ওপর
নোটিস জারি করার জন্য আদালত কর্তৃক নির্ধারিত অর্থ আদালতে জমা না দিলে;
দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ৪১ আদেশের ১৯ ও ২১ নিয়মে ছানি মোকদ্দমা করা যায়।
মামলা পুনরুজ্জীবিত করার বেশ কিছু বিধান রয়েছে। দেওয়ানি কার্যবিধির আদেশ
৯, নিয়ম ৪; আদেশ ৯, নিয়ম ৯ ও ৯ক এবং আদেশ ৯ নিয়ম ১৩ এর বিধান মতে মামলা
পুনরুজ্জীবিত করার বিধান রয়েছে।
Category: Law discussion
BIOGRAPHY OF JUSTICE MR. MAHMUDUL ISLAM
Mr. Mahmudul Islam was born in Rangpur on 24th July 1936. His father Mr. Azizul Islam was one of the prominent lawyers of Rangpur district at that time. His mother was Mrs. Jahanara Islam. Mr. Islam passed his Higher Secondary level from Rangpur Carmichael College. He completed his B.A in 1955 from Rangpur Carmichael College and later he completed Masters on Political Science from the Dhaka University, in the year 1957. He achieved his Law Degree from the same university, in the year 1959. In 1980 he received his LLM degree from Indiana University in the US.
Following his father’s footsteps, Mr. Islam also joined Rangpur District Bar, from where he started his career in the year 1961. Besides working with his father, Mr. Islam had the privilege of working as a Junior with prominent lawyers of Rangpur Bar such as Bijoy Chandra Moitor, Shital Rai Chowdhury and Shibandronath Mukhpadhai. He was enrolled as an Advocate of the then High Court at Dhaka in 1967 and started practice in the High Court Division. He had the privilege of working as a Junior with renowned lawyer Birendra Nath Chowdhury. He also worked as an Associate of the legendary lawyer Mr. Syed Ishtiaq Ahmed. Mr. Islam was enrolled as an Advocate of the Appellate Division of the Supreme Court of Bangladesh in 1972. He worked as a Special Prosecutor relating to War Crimes from April 1972 to December 1973. He also worked as an Assistant Attorney General from 1972 to 1976. He was granted the status of Senior Advocate in the year 1995. He was appointed the Attorney General for Bangladesh in 1998, and served till 2001. The aura surrounding Mr. Islam drew love, respect and attention of his colleagues, juniors and Judges. His submissions and research skills in his work yielded effective and practical results in all the cases he worked on. For his entire life he fought for ensuring justice and rights of the citizen under the constitution and other legal frameworks.
Mr. Mahmudul Islam was recognized as the pole-star of our judicial system and he handled all circumstance with his extraordinary brilliance. Courage and boldness to stand up for his beliefs, regardless of the consequences, was one of the very traits possessed by this exceptional individual, which in turn gave others hope in trying times. He led the nation in various critical periods into the right course and he became the voice of the nation.
Mahmudul Islam was the first lawyer in Bangladesh to write a substantial research based book on the Constitution, proving himself the most talented constitutional jurist in the country. His book titled the ‘Constitutional Law of Bangladesh’ is the most cited constitutional law book in our jurisdiction. The book itself has now become an authority on our constitution. His analysis on constitutional affair was very blunt and concise, reflecting his intelligence in an outspoken manner. Moreover, he introduced another branch of his legal acumen on civil procedure with co-author Mr. Probir Neogi, Senior Advocate, Supreme Court of Bangladesh. Two volumes of their books on the ‘Law of Civil Procedure’ is another treasured creation by the geniusof Mr. Mahmudul Islam. Mr. Islam’s book on Interpretation of Statutes and Documents was his latest addition to his scholarly contribution to our legal system. Furthermore, he was founding Editor of the law journal ‘Bangladesh Legal Decisions’ (B.L.D) published by Bangladesh Bar Council, during the years 1981-1982. This eminent jurist had his own style of interpretation. His sentences are lively and citations are precisely on the point. In many occasions the Supreme Court sought his opinion as an Amicus Curiae in significant cases like that of 8th Amendment Case, 13th Amendment Case, President’s Reference relating BDR Mutiny, Dr. Nurul Islam’s Case, etc.
The former Attorney General died at the age of 79 on 15.2.2016, Monday night, at a Dhaka hospital after suffering from geriatric diseases. He has left behind his wife, two sons (who are both engineers and residing at Canada), a grandson and a granddaughter. He was buried at Rangpur. His death caused an irreparable loss to the nation as he was among the most talented constitutional jurist in the country.
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি খোলা চিঠি,[মাধবী সরকার জয়া]
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর, আমার সালাম নিবেন , আমি আপনার দেশের সাধারণ একজন নাগরিক , আপনার কাছে পৌঁছা আমার জন্য সহজ নয় বিধায় এই লিখাই একমাত্র উপায় হিসেবে বেছে নিলাম |
আপনার স্বপ্নের বাংলাদেশ আজ প্রযুক্তি ভিত্তিক দেশ হিসেবে গড়ে উঠছে , উন্নয়ণশীল গরিব দেশটি এখন আর ততটা গরিব নয় , সবক্ষেত্রে আপনার অবদান রাখার চেষ্টাটুকুও প্রশংসনীয় |
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী , এতো কিছুর পরও আইনের সমতা , আইনের সুশাসন মারাত্মকভাবে তীরবিদ্ধ !! কোথাও কোথাও সুযোগের অসমতা মানবতার বক্ষে ছুরি চালায় !! আপনার মানবতা আর মমতার অনেক দৃষ্টান্ত আপনি দেখিয়েছেন অনেক ক্ষেত্রেই , আর সেই জন্যই আপনাকে অনুরোধ করছি আপনি একবার আপনার দেশের সাধারণ বন্দিদের জেলখানাটা একটু ঘুরে আসুন , সেখানকার পরিবেশ টা একটু দেখে আসুন |
প্রিয় প্রধানমন্ত্রী , একজন সাধারণ বন্দি অপরাধী বা নিরপরাধী যাই হউক না কেন তাদের কথা বলার বা প্রিয়জনদের কথা শোনার অধিকার নিশ্চই রয়েছে !! জেলখানার অতি কোলাহল পূর্ণ আর অপর্যাপ্ত একটি জায়গায় যখন বন্দিদের সাথে স্বজনদের দেখা করতে দেয়া হয় তখনকার পরিবেশ টা কতটুকু করুন আর বিশৃঙ্খলপূর্ণ হয় তা নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা খুব কঠিন !! একজন বন্দি তার গলার সর্বোচ্চ শক্তি ব্যবহার করেও যখন তার কথা প্রিয়জনের কাছে পৌঁছাতে না পেরে ক্লান্ত আর শুখনো মুখে জল ভরা চোঁখে ফিরে যায় , যখন বন্দির প্রিয়মানুষ গুলো জেল গেইট থেকে টাকা পুলিশকে দিতে দিতে বন্দির দেখা পেয়েও ঠিকমতো কথা শুনতে বা বলতে না পেরে কাঁদতে কাঁদতে ফিরে আসে তখন মানবতা আপনার দেশকে বিদ্রুপ করে , সব অর্জন কে হাসিতে উড়িয়ে দেয়
আমি বলছি না বন্দিদের সুখে রাখুন বা অনেক সুবিধা দিন , আমি শুধু অনুরূধ করছি তাদের কথা বলার আর শোনার সুস্থ্য পরিবেশ টুকু শুধু নিশ্চিত করুন !
আপনার দেশে মানবতার জয় হউক , সব অসমতা দূর করে আপনার দেশ হউক বিশ্বে শান্তি আর মানবতায় সেরা |
মাধবী সরকার জয়া আইন বিভাগ, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আদ্যোপান্ত, [এস এম আমির ওমরান]
***২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার সাথে জড়িত থাকার দায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান ও হারিছ চৌধুরিসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে অস্থায়ী বিশেষ আদালত ৫,
বুধবার বেলা ১২ টায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন এই আদেশ দেন।
*** মামলার আদ্যোপান্ত :- ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট বিকেল ৫টায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে প্রধান অতিথি শেখ হাসিনা একটি ট্রাকের ওপর তৈরি মঞ্চে কুড়ি মিনিটের বক্তৃতা শেষে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করার ঘোষণা দেন। তিনি মঞ্চ থেকে নিচে নেমে আসার সময় শুরু হয় মঞ্চ লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা। মাত্র দেড় মিনিটের মধ্যে বিস্ফোরিত হয় ১১টি শক্তিশালী গ্রেনেড। এতে ঘটনাস্থলেই ১২ জন এবং পরে হাসপাতালে আরও ১২ জন নিহত হন এবং ৩০০ এর অধিক ব্যাক্তি আহত হন ।ঘটনার পরদিন মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে মামলা করেন এবং তৎকালীন সরকার
২০০৪ সালের ২২ অগাস্ট বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীনকে চেয়ারম্যান করে এক সদস্যের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে । মাত্র এক মাস ১০ দিনের মাথায় ওই বছরের ২ অক্টোবর কমিশন সরকারের কাছে ১৬২ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কমিশনের সংগৃহীত তথ্য-প্রমাণ সন্দেহাতীতভাবে ইঙ্গিত করে, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার পেছনে একটি শক্তিশালী বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা জড়িত ছিল। ২০০৭ সালের সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ওই হামলার ঘটনায় পুনরায় তদন্ত হয়।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ১১ই জুন মুফতি হান্নানসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন সিআইডির জ্যেষ্ঠ এএসপি ফজলুল কবির।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালের ১১ জুন অধিকতর তদন্ত শেষে দেওয়া অভিযোগপত্রে বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টু, তার ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন ও হুজি নেতা মুফতি হান্নানসহ ২২ জনকে আসামি করা হয়।
তখন জানা যায়, শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে হামলার ছক করা হয়েছিল এবং পাকিস্তান থেকে আনা হয়েছিল হামলায় ব্যবহৃত আর্জেস গ্রেনেড। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পর অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
২০০৯ সালের ৩রা অগাস্ট রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি অধিকতর তদন্তের আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেন। এরপর মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির পুলিশ সুপার আবদুল কাহহার আখন্দ।
ঐ তদন্তে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপি’র অন্যতম শীর্ষ নেতা তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর সহ বেশ কয়েকজন পদস্থ সামরিক কর্মকর্তা এবং পুলিশের সাবেক তিনজন মহাপরিদর্শক বা আইজিপি’র নাম আসে।
দুই বছর তদন্তের পর ২০১১ সালের ৩ জুলাই ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এর ফলে এ মামলায় মোট আসামির সংখ্যা হয় ৫২।
আসামিদের মধ্যে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও মুফতি হান্নান এবং তার সহযোগী শাহেদুল ইসলাম বিপুলের মৃত্যুদণ্ড অন্য মামলায় কার্যকর হয়েছে। তিনজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় এ মামলার বর্তমান আসামির সংখ্যা ৪৯ জন। আসামিদের মধ্যে ৩১ জন কারাগারে রয়েছেন। পলাতক রয়েছেন বাকি ১৮ জন।
মামলায় মোট আসামি ৪৯ জন, এর মধ্যে কারাগারে রয়েছেন ৩১জন। রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষী দিয়েছেন ২২৫ জন,অন্যদিকে, আসামি পক্ষে সাক্ষী দিয়েছেন ২০ জন।
**একুশে অগাস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার তদন্তের এক আলোচিত অধ্যায় জজ মিয়া। ২০০৫ সালের ৯ই জুন গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগের একটি চায়ের দোকান থেকে তাকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় সেনবাগ থানায়।
পরে এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয় যখন গণমাধ্যমে ফাঁস হয় যে জজ মিয়ার বিষয়টি পুলিশের সাজানো।আসামী করার বদৌলতে তার পরিবারকে টাকা দেয়ার বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে। এরপর নানা ঘটনাপ্রবাহের পর ২০০৮ সালে তাকে আসামির তালিকা থেকে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র জমা দেয় সিআইডি।
পরে আদালত এ মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেন। ২০০৯ সালে মুক্তি পান জজ মিয়া।
**যাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে-
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর,
উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু,
ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী,
এনএসআই মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আবদুর রহিম,মাওলানা শেখ আবদুস সালাম,
মো. আবদুল মাজেদ ভাট ওরফে মো. ইউসুফ ভাট,আবদুল মালেক ওরফে গোলাম মোহাম্মদ ওরফে জিএম
মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ
মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে অভি
মাওলানা আবু সাঈদ ওরফে ডা. জাফর
আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল,
মো. জাহাঙ্গীর আলম
হাফেজ মাওলানা আবু তাহের
হোসাইন আহমেদ তামিম
মঈন উদ্দিন শেখ ওরফে মুফতি মঈন ওরফে খাজা ওরফে আবু জানদাল ওরফে মাসুম বিল্লাহ,
মো. রফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ ওরফে খালিদ সাইফুল্লাহ ওরফে শামিম ওরফে রাশেদ
মো. উজ্জ্বল ওরফে রতন
জঙ্গিনেতা মাওলানা মো. তাজউদ্দীন
হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ
**যাদের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে –
শাহাদাৎ উল্লাহ ওরফে জুয়েল,
মাওলানা আবদুর রউফ ওরফের আবু ওমর আবু হোমাইরা ওরফে পীরসাহেব,
মাওলানা সাব্বির আহমদ ওরফে আবদুল হান্নান সাব্বির,আরিফ হাসান ওরফে সুজন ওরফে আবদুর রাজ্জাক,হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া,
আবু বকর ওরফে হাফে সেলিম হাওলাদার,
মো. আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ,
মহিবুল মোত্তাকিন ওরফে মুত্তাকিন,
আনিসুল মুরছালিন ওরফে মুরছালিন,
মো. খলিল, জাহাঙ্গীর আলম বদর ওরফে ওস্তাদ জাহাঙ্গীর, মো. ইকবাল,লিটন ওরফে মাওলানা লিটন,তারেক রহমান ওরফে তারেক জিয়া,
হারিছ চৌধুরী,কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ,মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই, রাতুল আহম্মেদ বাবু ওরফে বাবু ওরফে রাতুল বাবু,
**২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের সর্বোচ্চ সাজা চেয়ে সরকার আপিল করবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বিএনপি অবশ্য এই রায়কে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক’ বলে বর্ণনা করে।
Presented by –
S.M Amir Umran
Secretary
Bangladesh Law Education and Legal Aid Centre(BLEAC).
***শিক্ষানবিশদের পড়ার পদ্ধতি…
♦ইদানিং আমরা ভুলে যাচ্ছি যে, আমরা আইন পড়েছি। আমরা আইনের ছাত্র-ছাত্রি। আইন কিভাবে পড়তে হয় এবং কিভাবে পড়লে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পারবেন তা নিচে দেয়া হলঃ
√√ “আমি এখনও শিখছি”- এই কথাটি বিজ্ঞ সিনিয়র আইনজিবিদের, যারা সংবিধানসহ বিভিন্ন আইনের ড্রাফট করেছেন। তারা যদি এই কথা বলে তাহলে এখানে আর ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নেই যে এই কথা দিয়ে কি বুঝায়। আইন বিষয়টি জানার জন্য আপনাকে প্রচুর সময় দিতে হবে।
√√মূল আইন জানা এবং বুঝা আপনার জন্য ফরয। আপনি হাদিসটি জানেন না কিন্তু হাদিসের ব্যাখা সম্বলিত ২/৩ টা বই পড়ে শেষ করেছেন, তাতে লাভ হবেনা। তদ্রূপ আপনাকে মূল আইন জেনে এবং বুঝে পড়তে হবে।
√√বার কাউন্সিল পরীক্ষার জন্য আমরা কিছু ব্যাক্তির লিখা গাইড অথবা নোট পড়ে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছি। যার ফলে আমরা অনেকেই সরষে ফুল সহ গোলাপ, গন্ধরাজ দেখতে পাই। অথচ আপনার পড়ার কথা মূল আইন। হতে পারে আপনি মূল আইন বুঝতে পারেন না। তখন আপনাকে ভালো কিছু লেখকের বই পড়তে হবে। এরপরে সমস্যা হলে অন্য কারো সাহায্য নিতে হবে। তাহলেই পাশ করার পাশাপাশি এই পড়াটি ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।
√√কয়েকজন মিলে গ্রুপভিত্তিক আলোচনা করুন। আইন বিষয়টি পড়ার অন্যতম পদ্ধতি এই গ্রুপভিত্তিক আলোচনা।
৩/৪/৫ জন মিলে একটি ধারা সম্পর্কে কে কি জানে তা শেয়ার করলে সেখানেই পড়া হয় যাবে;
√√নিজেকে নিয়ে লটারি খেলবেন না। বার কাউন্সিলে পরীক্ষা দিলাম হলে হবে, নাহলে নাই। এরকম মন মানষিকতা থাকলে এডভোকেট হতে পারবেন না। টারগেট হবে একবারই পাশ।
√√আমাদের সবার আর্থিক অবস্থা সমান নয়। যারা এখনো শিক্ষানবিস আছেন এবং আর্থিক সমস্যা রয়েছে তারা সিনিয়রদের সাথে কথা বলুন এবং চাহিদাটুকু জানান। আশা করি উনারাও মানবিক হবেন এবং পাশাপাশি অন্য কিছু করার চেস্টা করুন
Curtesy Jurists Law Academy.
The Journey Begins
Thanks for joining me!
Good company in a journey makes the way seem shorter. — Izaak Walton





