মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি খোলা চিঠি,[মাধবী সরকার জয়া]

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর,                                 আমার সালাম নিবেন , আমি আপনার দেশের সাধারণ একজন নাগরিক , আপনার কাছে পৌঁছা আমার জন্য সহজ নয় বিধায় এই লিখাই একমাত্র উপায় হিসেবে বেছে নিলাম |

আপনার স্বপ্নের বাংলাদেশ আজ প্রযুক্তি ভিত্তিক দেশ হিসেবে গড়ে উঠছে , উন্নয়ণশীল গরিব দেশটি এখন আর ততটা গরিব নয় , সবক্ষেত্রে আপনার অবদান রাখার চেষ্টাটুকুও প্রশংসনীয় |

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী , এতো কিছুর পরও আইনের সমতা , আইনের সুশাসন মারাত্মকভাবে তীরবিদ্ধ !! কোথাও কোথাও সুযোগের অসমতা মানবতার বক্ষে ছুরি চালায় !! আপনার মানবতা আর মমতার অনেক দৃষ্টান্ত আপনি দেখিয়েছেন অনেক ক্ষেত্রেই , আর সেই জন্যই আপনাকে অনুরোধ করছি আপনি একবার আপনার দেশের সাধারণ বন্দিদের জেলখানাটা একটু ঘুরে আসুন , সেখানকার পরিবেশ টা একটু দেখে আসুন |

প্রিয় প্রধানমন্ত্রী , একজন সাধারণ বন্দি অপরাধী বা নিরপরাধী যাই হউক না কেন তাদের কথা বলার বা প্রিয়জনদের কথা শোনার অধিকার নিশ্চই রয়েছে !! জেলখানার অতি কোলাহল পূর্ণ আর অপর্যাপ্ত একটি জায়গায় যখন বন্দিদের সাথে স্বজনদের দেখা করতে দেয়া হয় তখনকার পরিবেশ টা কতটুকু করুন আর বিশৃঙ্খলপূর্ণ হয় তা নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা খুব কঠিন !! একজন বন্দি তার গলার সর্বোচ্চ শক্তি ব্যবহার করেও যখন তার কথা প্রিয়জনের কাছে পৌঁছাতে না পেরে ক্লান্ত আর শুখনো মুখে জল ভরা চোঁখে ফিরে যায় , যখন বন্দির প্রিয়মানুষ গুলো জেল গেইট থেকে টাকা পুলিশকে দিতে দিতে বন্দির দেখা পেয়েও ঠিকমতো কথা শুনতে বা বলতে না পেরে কাঁদতে কাঁদতে ফিরে আসে তখন মানবতা আপনার দেশকে বিদ্রুপ করে , সব অর্জন কে হাসিতে উড়িয়ে দেয়

আমি বলছি না বন্দিদের সুখে রাখুন বা অনেক সুবিধা দিন , আমি শুধু অনুরূধ করছি তাদের কথা বলার আর শোনার সুস্থ্য পরিবেশ টুকু শুধু নিশ্চিত করুন !

আপনার দেশে মানবতার জয় হউক , সব অসমতা দূর করে আপনার দেশ হউক বিশ্বে শান্তি আর মানবতায় সেরা |

মাধবী সরকার জয়া                                 আইন বিভাগ,                                           ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আদ্যোপান্ত, [এস এম আমির ওমরান]

 

***২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার সাথে জড়িত থাকার দায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান ও হারিছ চৌধুরিসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে অস্থায়ী বিশেষ আদালত ৫,
বুধবার বেলা ১২ টায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন এই আদেশ দেন।

*** মামলার আদ্যোপান্ত :- ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট বিকেল ৫টায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে প্রধান অতিথি শেখ হাসিনা একটি ট্রাকের ওপর তৈরি মঞ্চে কুড়ি মিনিটের বক্তৃতা শেষে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করার ঘোষণা দেন। তিনি মঞ্চ থেকে নিচে নেমে আসার সময় শুরু হয় মঞ্চ লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা। মাত্র দেড় মিনিটের মধ্যে বিস্ফোরিত হয় ১১টি শক্তিশালী গ্রেনেড। এতে ঘটনাস্থলেই ১২ জন এবং পরে হাসপাতালে আরও ১২ জন নিহত হন এবং ৩০০ এর অধিক ব্যাক্তি আহত হন ।ঘটনার পরদিন মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে মামলা করেন এবং তৎকালীন সরকার
২০০৪ সালের ২২ অগাস্ট বিচারপতি মো. জয়নুল আবেদীনকে চেয়ারম্যান করে এক সদস্যের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে । মাত্র এক মাস ১০ দিনের মাথায় ওই বছরের ২ অক্টোবর কমিশন সরকারের কাছে ১৬২ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কমিশনের সংগৃহীত তথ্য-প্রমাণ সন্দেহাতীতভাবে ইঙ্গিত করে, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার পেছনে একটি শক্তিশালী বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা জড়িত ছিল। ২০০৭ সালের সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ওই হামলার ঘটনায় পুনরায় তদন্ত হয়।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ১১ই জুন মুফতি হান্নানসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন সিআইডির জ্যেষ্ঠ এএসপি ফজলুল কবির।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালের ১১ জুন অধিকতর তদন্ত শেষে দেওয়া অভিযোগপত্রে বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টু, তার ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন ও হুজি নেতা মুফতি হান্নানসহ ২২ জনকে আসামি করা হয়।
তখন জানা যায়, শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে হামলার ছক করা হয়েছিল এবং পাকিস্তান থেকে আনা হয়েছিল হামলায় ব্যবহৃত আর্জেস গ্রেনেড। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পর অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
২০০৯ সালের ৩রা অগাস্ট রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি অধিকতর তদন্তের আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেন। এরপর মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির পুলিশ সুপার আবদুল কাহহার আখন্দ।
ঐ তদন্তে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপি’র অন্যতম শীর্ষ নেতা তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর সহ বেশ কয়েকজন পদস্থ সামরিক কর্মকর্তা এবং পুলিশের সাবেক তিনজন মহাপরিদর্শক বা আইজিপি’র নাম আসে।
দুই বছর তদন্তের পর ২০১১ সালের ৩ জুলাই ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এর ফলে এ মামলায় মোট আসামির সংখ্যা হয় ৫২।
আসামিদের মধ্যে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও মুফতি হান্নান এবং তার সহযোগী শাহেদুল ইসলাম বিপুলের মৃত্যুদণ্ড অন্য মামলায় কার্যকর হয়েছে। তিনজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় এ মামলার বর্তমান আসামির সংখ্যা ৪৯ জন। আসামিদের মধ্যে ৩১ জন কারাগারে রয়েছেন। পলাতক রয়েছেন বাকি ১৮ জন।
মামলায় মোট আসামি ৪৯ জন, এর মধ্যে কারাগারে রয়েছেন ৩১জন। রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষী দিয়েছেন ২২৫ জন,অন্যদিকে, আসামি পক্ষে সাক্ষী দিয়েছেন ২০ জন।

**একুশে অগাস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার তদন্তের এক আলোচিত অধ্যায় জজ মিয়া। ২০০৫ সালের ৯ই জুন গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগের একটি চায়ের দোকান থেকে তাকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় সেনবাগ থানায়।
পরে এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয় যখন গণমাধ্যমে ফাঁস হয় যে জজ মিয়ার বিষয়টি পুলিশের সাজানো।আসামী করার বদৌলতে তার পরিবারকে টাকা দেয়ার বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে। এরপর নানা ঘটনাপ্রবাহের পর ২০০৮ সালে তাকে আসামির তালিকা থেকে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র জমা দেয় সিআইডি।
পরে আদালত এ মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেন। ২০০৯ সালে মুক্তি পান জজ মিয়া।

**যাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে-
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর,
উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু,
ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী,
এনএসআই মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আবদুর রহিম,মাওলানা শেখ আবদুস সালাম,
মো. আবদুল মাজেদ ভাট ওরফে মো. ইউসুফ ভাট,আবদুল মালেক ওরফে গোলাম মোহাম্মদ ওরফে জিএম
মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ
মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে অভি
মাওলানা আবু সাঈদ ওরফে ডা. জাফর
আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল,
মো. জাহাঙ্গীর আলম
হাফেজ মাওলানা আবু তাহের
হোসাইন আহমেদ তামিম
মঈন উদ্দিন শেখ ওরফে মুফতি মঈন ওরফে খাজা ওরফে আবু জানদাল ওরফে মাসুম বিল্লাহ,
মো. রফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ ওরফে খালিদ সাইফুল্লাহ ওরফে শামিম ওরফে রাশেদ
মো. উজ্জ্বল ওরফে রতন
জঙ্গিনেতা মাওলানা মো. তাজউদ্দীন
হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ

**যাদের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে –
শাহাদাৎ উল্লাহ ওরফে জুয়েল,
মাওলানা আবদুর রউফ ওরফের আবু ওমর আবু হোমাইরা ওরফে পীরসাহেব,
মাওলানা সাব্বির আহমদ ওরফে আবদুল হান্নান সাব্বির,আরিফ হাসান ওরফে সুজন ওরফে আবদুর রাজ্জাক,হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া,
আবু বকর ওরফে হাফে সেলিম হাওলাদার,
মো. আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ,
মহিবুল মোত্তাকিন ওরফে মুত্তাকিন,
আনিসুল মুরছালিন ওরফে মুরছালিন,
মো. খলিল, জাহাঙ্গীর আলম বদর ওরফে ওস্তাদ জাহাঙ্গীর, মো. ইকবাল,লিটন ওরফে মাওলানা লিটন,তারেক রহমান ওরফে তারেক জিয়া,
হারিছ চৌধুরী,কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ,মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই, রাতুল আহম্মেদ বাবু ওরফে বাবু ওরফে রাতুল বাবু,
**২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের সর্বোচ্চ সাজা চেয়ে সরকার আপিল করবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বিএনপি অবশ্য এই রায়কে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক’ বলে বর্ণনা করে।

Presented by –
S.M Amir Umran
Secretary
Bangladesh Law Education and Legal Aid Centre(BLEAC).

“মি টু” আন্দোলন এবং নারী , [এম এ এ শামীম পাটওয়ারী]

Featured

পুরুষের সহজাত প্রবৃত্তি আর নারীর সহজাত প্রবৃত্তি কখনও একী রকম না। অবশ্য ব্যতিক্রম কিছু বিষয় ব্যতীত নারী এবং পুরুষের প্রবৃত্তি সম্পূর্ণই আলাদা। এক্ষেত্রে নারীকেই তার নিজের বিষয়ে বেশী সচেতন হতে হয়।

পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা তে পুরুষরা একটু বেশি রক্ষণশীল হবে এটা স্বাভাবিক। প্রথমে নারীকেই বুঝে নেওয়া উচিৎ তার নিজের রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়গুলো। তারপর আসে শিক্ষা। শিক্ষা নারীকে তার ব্যক্তিত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে সচেতন করে তোলে। একজন নারীকে সচেতন করে গড়ে তুলতে হলে পরিবারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। পরিবারের মা,খালা, ফুফু, নানী, দাদী; এদের ভূমিকা অগ্রগণ্য । এরাই প্রথমে একটি মেয়েশিশুকে বড় হতে হতে বুঝিয়ে দেয় কিভাবে তাকে চলাফেরা করতে হবে। কতটুকু শালীনতা বজায় চললে পুরুষের অনাকাঙ্খিত আচরণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে! এই শিক্ষাগুলো পরিবার থেকে দিতে হবেই। আমরা যতবড় আধুনিক সমাজেই বাস করি না কেন নারীর ভেতরের বিষয়গুলো নারীকে বুঝিয়ে দিতে হবেই। নাহলে পুরুষের ব্যাঘ্র থাবা থেকে কোনো নারীই রক্ষা পাবে না।

ধর্মীয় অনুশাসনে অনেক নিয়ম নীতি বেঁধে দেওয়া হলেও যতখন মানসিকভাবে কেউ নৈতিকতা মেনে না নিবে ততখন ধর্ম কোনভাবেই পরিবর্তন আনতে পারেনা। আল্লাহ, ভগবানকে ভয় পাওয়ার চেয়ে বড়কথা হলো নিজের মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ তৈরী করা। পুরুষ যতটা না মানুষ,ঠিক তার সমতূল্য পশুও বটে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে নারীকেই সচেতন হতে হবে।
এই সমাজ একদিনে পরিবর্তন হবে না। তবে হ্যাঁ, ধীরেধীরে নারীর ভেতর সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু এই সচেতনতা বৃদ্ধি মানে স্বেচ্ছাচারিতা নয়। যাচ্ছেতাই জীবনযাপন নয়। সবকিছুর ই একটা নিয়ম আছে৷ সেই নিয়মের মধ্যে থেকেই জীবনকে পরিচালনা করা সম্ভব।

অনেক মেয়েকে দেখেছি, পুরুষের সাথে কথা বলার সময় ঢলে পড়ে,গায়ে গায়ে ঘেঁষে আদিখ্যেতা দেখায়। কাউকে কাউকে তো দেখেছি পুরুষের পাশে বসে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে।এরুপপরিস্থিতিতে পুরুষটি কি করবে! যেখানে পুরুষ নারীকে দেখামাত্র নিউরনে তেঁতে উঠে।সেখানে গায়ে পড়ে উস্কে দিলে বিষয়টি ভিন্ন কিছুতে রূপ ন্যায়। পুরুষ নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অস্বাভাবিক কিছু করে বসে। এমন বেল্লাপনা মেয়েদের জন্যই অনেক সভ্য,ভদ্র মেয়েরা, যারা নিজ যোগ্যতায় সম্মানের সাথেে এগিয়ে যেতে চায়,তারা লজ্জায় মুখ থুবড়িয়ে পড়ে থাকে। এসমস্ত মেয়ে যখন মা হবে তখন তাদের কাছ থেকে তাদের মেয়েরাইবা কি শিখে বা শিখবে! এরাই নারী্র চলার পথে এবং নারী জাগরণের পথে প্রধান অন্তরায়।

আজ “মি টু” নামে সারা পৃথিবীব্যাপী যে হইছই শুরু হয়েছে, তাতে কি রেজাল্ট আসবে জানি না, তবে এইটুকু বলা যায় ছিন্নভিন্ন আন্দোলনে কোনো গণ সচেতনতা বৃদ্ধি পায়না। শুধু হ্যাস ট্যাগ মেরে “মি টু” লিখে আমার গোপন কথা ফাঁস করে দিয়ে পুরুষটিকে বড়জোর লজ্জা দেয়া যায় তার বেশি হলে মামলা- মোকাদ্দমা করে শাস্তির ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কিন্তু এতে কি পুরুষ সমাজের মধ্যে কোনো পরিবর্তন আসবে? যেখানে নারী নিজেই নিজের ব্যাপারে সচেতন না। নারী নিজেই জানে না সে কতটুকু নারী, আর কতটুকু মানুষ! বাস্তব জ্ঞান বিবর্জিত যত আন্দোলনই হোক না কেন আল্টিমেট রেজাল্ট কিন্তু জিরো। যে সমস্ত পরিবার নিয়মকানুনের ধার ধারে না, সে সমস্ত পরিবারের মেয়েদের সচেতন না করতে পারলে কঠিন বাস্তবতা ধরা দিবে এটাই স্বাভাবিক। বাস্তব সত্য এমন অসংখ্য ঘটনা আমাদের চোখের সামনে প্রতিনিয়ত ঘটছে।”মি- টু” আন্দোলন পুরুষ সমাজকে একটা ধাক্কা দিবে সত্যি কিন্তু নারী যদি নারীর জায়গা থেকে সচেতন না হয় তবে সব পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে বাধ্য।

Writer: ADVOCATE[apprentice].

***শিক্ষানবিশদের পড়ার পদ্ধতি…

♦ইদানিং আমরা ভুলে যাচ্ছি যে, আমরা আইন পড়েছি। আমরা আইনের ছাত্র-ছাত্রি। আইন কিভাবে পড়তে হয় এবং কিভাবে পড়লে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে পারবেন তা নিচে দেয়া হলঃ

√√ “আমি এখনও শিখছি”- এই কথাটি বিজ্ঞ সিনিয়র আইনজিবিদের, যারা সংবিধানসহ বিভিন্ন আইনের ড্রাফট করেছেন। তারা যদি এই কথা বলে তাহলে এখানে আর ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নেই যে এই কথা দিয়ে কি বুঝায়। আইন বিষয়টি জানার জন্য আপনাকে প্রচুর সময় দিতে হবে।

√√মূল আইন জানা এবং বুঝা আপনার জন্য ফরয। আপনি হাদিসটি জানেন না কিন্তু হাদিসের ব্যাখা সম্বলিত ২/৩ টা বই পড়ে শেষ করেছেন, তাতে লাভ হবেনা। তদ্রূপ আপনাকে মূল আইন জেনে এবং বুঝে পড়তে হবে।

√√বার কাউন্সিল পরীক্ষার জন্য আমরা কিছু ব্যাক্তির লিখা গাইড অথবা নোট পড়ে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছি। যার ফলে আমরা অনেকেই সরষে ফুল সহ গোলাপ, গন্ধরাজ দেখতে পাই। অথচ আপনার পড়ার কথা মূল আইন। হতে পারে আপনি মূল আইন বুঝতে পারেন না। তখন আপনাকে ভালো কিছু লেখকের বই পড়তে হবে। এরপরে সমস্যা হলে অন্য কারো সাহায্য নিতে হবে। তাহলেই পাশ করার পাশাপাশি এই পড়াটি ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।

√√কয়েকজন মিলে গ্রুপভিত্তিক আলোচনা করুন। আইন বিষয়টি পড়ার অন্যতম পদ্ধতি এই গ্রুপভিত্তিক আলোচনা।
৩/৪/৫ জন মিলে একটি ধারা সম্পর্কে কে কি জানে তা শেয়ার করলে সেখানেই পড়া হয় যাবে;

√√নিজেকে নিয়ে লটারি খেলবেন না। বার কাউন্সিলে পরীক্ষা দিলাম হলে হবে, নাহলে নাই। এরকম মন মানষিকতা থাকলে এডভোকেট হতে পারবেন না। টারগেট হবে একবারই পাশ।

√√আমাদের সবার আর্থিক অবস্থা সমান নয়। যারা এখনো শিক্ষানবিস আছেন এবং আর্থিক সমস্যা রয়েছে তারা সিনিয়রদের সাথে কথা বলুন এবং চাহিদাটুকু জানান। আশা করি উনারাও মানবিক হবেন এবং পাশাপাশি অন্য কিছু করার চেস্টা করুন

 

Curtesy                                                   Jurists Law Academy.